Film Review : Jurassic World

Jurassic World

অতিপ্রাকৃতিক জিনিসপত্র দেখতে আমার ভালো লাগে। তার সাথে একটু উত্তেজনা, একটু থমথমে ভয়, একটু মারপিট আর হলিউড সিনেমায় আমাদের বলিউড অ্যাক্টর থাকলে তো পোয়াবারো। দুঘন্টা দশ মিনিট তাই গাঁজাখুড়ি গপ্পো দেখতে দেখতে ভালোই কাটল, হলের আর পাঁচটা বাচ্চার মতো নিজেকেও বাচ্চা মনে করে। তবে স্টিভেন স্পিলবার্গের জুরাসিক পার্কের সাথে এটার তুলনা করা বাতুলতা। বাইশ বছর আগের সেই জুরাসিক পার্ক মূলতঃ একটা game changer, সেজন্য তার সাথে জুরাসিক পার্কের অন্য যাবতীয় sequels এক সারিতে কোনদিনই মনে হয় দাঁড়াতে পারবেনা। এটাও পারেনি, যদিও বক্স অফিসের রিপোর্ট অনুসারে জুরাসিক ওয়ার্ল্ড পৃথিবীতে আজ অবধি যতগুলো সিনেমা বেরিয়েছে তাদের মধ্যে Biggest Friday তকমা পাচ্ছে, যেখানে Thursday Night Preview বিশ্বের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার কামিয়েছে।

অভিনয়ে Chris Pratt, Ty Simpkins, Irrfan Khan, B.D.Wong যথাযথ। Bryce Dallas Howardকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে কয়েকবছর আগেও রীতিমতো মেদবহুল চেহারা ছিল তাঁর, এখানে আকর্ষণীয়া আর কথা বলার ভঙ্গিতে বেশ stylish লেগেছে তাঁকে যেটা তাঁর চরিত্র Claire-এর সাথে সুন্দরভাবে খাপ খেয়েছে। Script একটু নড়বড়ে লাগল, বিশেষত শেষটা যেন তাড়াতাড়ি করে খতম করে দেওয়া। অবশ্য যে script গত তেরো বছর ধরে তৈরী হয়ে চলেছে তার থেকে বেশী কিছু আশা করা অন্যায়। দেড়শো মিলিয়ন ডলার খরচ করে চোখ ঝলসানো special effect বানানো কিন্তু effect-টা তেমন দানা বাঁধলো কোথায় ? তার চেয়ে ‘Recreating the Cretaceous: a tale of Survival’ পড়লে হয়ত জিনগত শংকর (hybrid Indominus Rex) বানানোর গল্পটা বেশী বিশ্বাসযোগ্য মনে হবে। Trevorrow সাহেবের পরিচালনা টানটান, ঠিক যেমন Kevin Stitt-এর নিঁখুত সম্পাদনা। Opening scene-এর চমকটাও দারুণ, সাথে Giacchino’র background music-এর সুন্দর support. হাওয়াইয়ের হনুলুলু দিব্যি দেখে নিলাম চোখ গোলগোল করে, অধিকাংশ শ্যুটিং ওখানে করা। তবে আর না, অনেক হয়েছে। এবার ডাইনোসর ছেড়ে অন্য কোন বিষয় নেওয়া হোক। পুরনো ম্যাজিক বারবার কাজ করেনা।

মেসেজটা অর্থবহ যদিও। পরিচালকের কথায় সিনেমার দুষ্টু ডাইনোসর মানবতার নিকৃষ্ট প্রবণতার প্রতীক। আশ্চর্য প্রকৃতি আর মজার ঘটনা সমানে ঘটে যাচ্ছে চারপাশে, তবুও আমাদের আরও চাই, আরও বড়, সুন্দর, দ্রুতগতি সম্পন্ন জীবন চাই, আনন্দ চাই। বাড়তে বাড়তে লোভটা যখন Mosasaurusএর মতো বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করে তখন হয়তো আমাদের বোধোদয় হয়।

একবার দেখতেই পারেন। পরিবার সমেত। আমার মতে, ৩.৫/৫ stars.

Leave a Comments

Your email address will not be published. Required fields are marked *